Thank you for trying Sticky AMP!!

এক বছর ধরে সম্মানী পাচ্ছেন না চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান এক বছর ধরে সম্মানী পাচ্ছেন না। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দুই ভাইস চেয়ারম্যানেরও সাত মাসের সম্মানী বকেয়া আছে।

উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসে ৪০ হাজার টাকা ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান ২৭ হাজার টাকা করে সম্মানী পান। পরিষদের আয় না থাকায় ২০২০ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত এক বছরে ১১ লাখ ২৮ হাজার টাকা সম্মানী বকেয়া আছে। এর আগের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সাত মাসের ৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা সম্মানী বকেয়া আছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী কিরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা পরিষদে মাসে আয় হয় মাত্র ৬০ হাজার টাকা। এ থেকে অস্থায়ী দুজন কর্মচারীকে মাসে ২৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। অবশিষ্ট টাকা আনুষঙ্গিক ব্যয় করা হয়। পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের সম্মানী, দুজন কর্মচারীর বেতনসহ মাসে আড়াই লাখ টাকা প্রয়োজন। পরিষদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বিল বাবদ ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ টাকা বকেয়া আছে। পরিষদের গাড়ি মেরামত বাবদ ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা বিল বকেয়া আছে। পরিষদে মাসে যে ৬০ হাজার টাকা আয় হয়, তা আসে শুধু বিভিন্ন বাসাভাড়া থেকে।

উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, এক বছর ধরে তাঁরা কোনো সম্মানী পাচ্ছেন না। সম্মানী না পেলেও বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাঁদের সহযোগিতা করতে হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুধু নামেই ভাইস চেয়ারম্যান। আমাদের দাপ্তরিক ক্ষমতা নেই, কোনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী কারও নাম দিতে পারি না। এমনিতে গত এক বছর আমাদের সম্মানী বন্ধ। সাধারণ মানুষ তো আর আমাদের সম্মানী বন্ধ, আমাদের দাপ্তরিক ক্ষমতা নেই, সেটা বোঝে না। সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে এলে আমরা অসহায়ের মতো থাকি।’

এর আগে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নব কমল চাকমা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সাত মাসের সম্মানী পাব। তবে আমি দায়িত্ব পালনকালে বুঝলাম পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৬টি উপজেলা পরিষদ মূলত নামেই। পার্বত্য চুক্তির ফলে উপজেলা পরিষদের যে ক্ষমতা, তা পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৬টি উপজেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, নাকি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’

উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা পরিষদের তেমন নিজস্ব আয় নেই। বাসাভাড়া থেকে যা আয় হয়, তা কর্মচারীর বেতনসহ দাপ্তরিক খরচে ব্যয় হয়ে যায়। তিনি মাসে যে সম্মানী পেতেন, তা বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে দিয়ে দিতেন। অন্তত ভাইস চেয়ারম্যানদের সম্মানী যদি পরিশোধ করা যেত, তাহলে ভালো হতো।