Thank you for trying Sticky AMP!!

ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি

ফরিদপুরের সালথায় পুলিশ কর্তৃক এক মুক্তিযোদ্ধাকে গালিগালাজ ও লাঠিপেটার অভিযোগে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

শনিবার দুপুরে সালথা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি কমান্ডার শাহদাৎ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, আতিকুর রহমান, রতন মাতুব্বর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সদস্যসচিব কাজী এরশাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমিটির সভাপতি মাহাবুব হোসেন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ–তদন্ত) জামাল পাশাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, গতকাল শুক্রবার উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খলিশপুট্টি গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেনসহ পাঁচ-সাতজন লোক মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হন। তখন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিহিত কোর্টে মুক্তিযোদ্ধার নেমপ্লেট ছিল। পরে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বক্তারা বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা বিচার চাই না, আমরা ওসির অপসারণ চাই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ওসিকে অপসারণের দাবি করছি। অপসারণ না করলে আমরা আবার রাজপথে নামব।’

সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশি পিটুনির শিকার হয়েছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, শনিবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে এসেছেন। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ লাইনসসহ বিভিন্ন থানা থেকে অনেক পুলিশ আনা হয়। ওই সময় দুপক্ষের আক্রমণাত্মক পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হয়তো এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে।