Thank you for trying Sticky AMP!!

ঔষধির নার্সারিতে স্বাবলম্বী

নিজের নার্সারিতে নিমাই চন্দ্র মহন্ত

মাত্র ৭ শতাংশ জমিতে করা ফুল ও ঔষধিগাছের নার্সারি। এই দিয়েই ভাগ্য বদলে ফেলেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কামারকুড়ি গ্রামের নিমাই চন্দ্র মহন্ত (৪৫)। বাণিজ্যিকভাবে ফুল ও ঔষধিগাছের চারা তৈরিকেই জীবন-জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

নার্সারি থেকে চারা বিক্রি করে বর্তমানে নিমাইয়ের মাসিক আয় ১৪ হাজার টাকা। এই আয় ক্রমেই বাড়ছে। তাঁর নার্সারির চারার চাহিদাও তৈরি হচ্ছে নিজ এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের জেলাগুলোতে।

গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আত্রাই নদীপারের কামারকুড়ি গ্রামে নিমাই চন্দ্রের বাড়ির লাগোয়া নার্সারি। নিমাই এর নাম দিয়েছেন ‘বটতলা নার্সারি’। ৭ শতাংশ জমিতে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুল ও ঔষধিগাছের চারা। নিমাইকে নার্সারি পরিচর্যায় ব্যস্ত দেখা গেল। তাঁর বাড়ির উঠান ও বারান্দাতেও সারি সারি সাজানো নানা জাতের ফুল ও ঔষধিগাছের টব।

নিমাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এইচএসসি পাসের পর অর্থের অভাবে তাঁর আর পড়াশোনা করা হয়নি। এইচএসসির পর তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। চাকরি করা অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ব্যক্তির আমের চারার নার্সারির সাফল্য দেখে তিনি নার্সারি করার পরিকল্পনা করেন। ওষুধ কোম্পানিতে চার বছর কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এরপর বাড়ির সামনে নিজের একমাত্র সম্বল ৭ শতাংশ জমিতে শুরু করেন ফুল ও ঔষধি গাছের চারা তৈরি।

প্রথম আলোকে নিমাই বলেন, ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আশপাশের জেলায় ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি নিজেই চারা পৌঁছে দিয়ে আসি।’ অনেকেই পরামর্শ নিতে আসেন তাঁর কাছে।