Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারে করোনায় প্রথম রোহিঙ্গা রোগীর মৃত্যু

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে প্রথমবারের মতো কোভিড–১৯ রোগী এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তি (৭১) উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের বাসিন্দা। গত ৩০ মে রাতে বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হলেও গণমাধ্যমকে জানানো হয় আজ মঙ্গলবার দুপুরে।

বর্তমানে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯ জন। কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে।

গত ১৪ মে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে প্রথম এক রোহিঙ্গার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ পুরো শিবিরে যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য উখিয়ার তিনটি আশ্রয়শিবিরের তিন হাজার ৬০০ পরিবারের ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে লকডাউনে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর খাবার, স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম নিশ্চিত করছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
আরআরআরসি কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী আবু তোহা এমআরএইচ ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, কুতুপালং শিবিরের ওই বৃদ্ধ করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজের ঘরেই কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ৩০ মে দুপুরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। ওই রাতে বৃদ্ধের মৃত্যু হলে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়। পরের দিন জানা যায়, তিনি করোনা পজেটিভ। এরপর তাঁর পরিবারের ৯ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, সামাজিক সংক্রমণের মাধ্যমে আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা সংক্রমিত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে যাওয়া–আসা করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।