Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারে পানিতে গুলিয়ে ৫৩৩ কোটি টাকার ইয়াবা ধ্বংস

পানিতে গুলিয়ে ইয়াবা ধ্বংস করার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন মাঠে

জব্দ করা প্রায় ৫৩৫ কোটি টাকার মাদক আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন মাঠে ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ১১২টি ইয়াবা, যার মূল্য প্রায় ৫৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এগুলো জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এর আগে ‘মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ-২০২১’ অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে এসব মাদক জব্দ করা হয়।

ইয়াবা ছাড়াও ধ্বংস করা মাদকের মধ্যে আছে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার ৫ হাজার ৭৯৯টি মদের বোতল, ৩৩ হাজার ৫৫৫ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৩৬ লিটার বাংলা চোলাই মদ, ১৫ দশমিক ৭৩২ কেজি গাঁজা, ১৮ হাজার ৭৫০ পাতা সিডিল ট্যাবলেট ও ৫ হাজার পাতা জোলিয়াম ট্যাবলেট। এগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসা মাদকে যুবসমাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। এতে সাড়া দিয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী মাদক নির্মূলে ভূমিকা রেখে চলেছে।

মাদকদ্রব্য জব্দের পাশাপাশি ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি প্রশংসার দাবিদার। তারা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে বলেই আমরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছি। বিজিবির মতো অন্যান্য বাহিনীও সোচ্চার হলে বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বিজিবির ব্যাটালিয়নগুলোতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত হয়, যা কক্সবাজারের রামু সেক্টরে ইয়াবা জব্দের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।

সাজেদুর রহমান বলেন, ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত রামু সেক্টরে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৩টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। এর বাজারমূল্য প্রায় ৯৪৮ কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। মালিকবিহীন ইয়াবাগুলোই শুধু ধ্বংস করার জন্য আলাদা করা হয়।

অনুষ্ঠানে এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক খায়রুল কবির, কক্সবাজারের চার সাংসদ জাফর আলম, সাইমুম সরওয়ার, আশেক উল্লাহ রফিক ও কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।