Thank you for trying Sticky AMP!!

কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় আজ রোববার মামলা হয়েছে। বিকেলে মেয়েটির বাবা পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি করেন। এতে মেয়েটির কথিত প্রেমিককে আসামি করা হয়েছে।

ওই আসামির নাম রাসেল আহমেদ। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।

থানা-পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। সে সময় বিদ্যালয়টিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন রাসেল। মেয়েটি তখন রাসেলের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। সে সময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাসেল মেয়েটিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত শুক্রবার রাসেল আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেন। এ খবর সইতে না পেরে পরদিন সকাল সাতটার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না বেঁধে আত্মহত্যা করেন ওই কলেজছাত্রী। এর আগে রাসেলের ছবিসহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

ওই স্ট্যাটাসে মেয়েটি লিখেছেন, ‘...আল্লাহ আমায় মাফ করো। দেশে এমন শিক্ষক আর কোনো ছাত্রীর জীবনে না আসুক।...বিদায়।’

পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া বলেন, রাসেল আহমেদ পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।