Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনায় লোকসানের শঙ্কা

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। তবে কোরবানির পশুহাটে সে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও কোরবানির পশুহাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না সেখানে। গতকাল পাবনার সাঁথিয়ার করমজা হাটে।

একদিকে হাটে গেলে জনসমাগমের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয়, অন্যদিকে এবারও বছরজুড়ে লালন–পালন করা গরু অথবা ছাগলটি বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের শঙ্কা। কোরবানির পশুহাটে কেনাবেচা নিয়ে এমন উভয় সংকটে পড়ার কথা জানিয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা হাটে জনসমাগমের যে চিত্র দেখা গেছে, তাতে হাটে যাওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের মাধ্যমে অন্যদেরও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। তবে কোরবানির পশুহাটে সে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।

করমজা পশুহাটে গতকাল ভিড় ছিল উপচে পড়া। হাট কমিটির পক্ষ থেকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা খুব একটা কাজে লাগাতে দেখা যায়নি। এই পশুহাট উত্তরাঞ্চলের বড় হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম। হাট ঘুরে অনেক কোরবানির পশু আমদানি দেখা গেলেও বেচাকেনা ছিল কম।

হাটে সাঁথিয়া উপজেলার শহীদনগর গ্রামের রইজউদ্দিন জানান, এক বছর ধরে তিনি বাড়িতে দুটি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। সকালে হাটে নিয়ে এলেও বেলা ১টা পর্যন্ত ২টির দাম ওঠে মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অথচ সপ্তাহখানেক আগে ব্যাপারীরা বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছিলেন।

সাঁথিয়ার ইউএনও এস এম জামাল আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার জন্য হাট কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গাইবান্ধা জেলায় সাড়ে ১২ হাজারের বেশি খামারি এবার গরু বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭৭টি বাণিজ্যিক পশুখামার আছে। এসব খামারে ৯০ হাজার গরু আছে। এসব গরু লালন-পালন করে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে বড় খামারে ৩৮ হাজার এবং ছোট খামারে ৫২ হাজার গরু প্রস্তুত আছে।