Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা ইউনিটে মৃত্যু, স্বাভাবিক দাফন করায় আতঙ্ক

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার এক নারী বুধবার বরিশােল করোনা ইউনিটে মারা যান। বিষয়টি গোপন রেখে লাশ স্বাভাবিক নিয়মে বৃহস্পতিবার গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউনেরও কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে ১৫ এপ্রিল সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এরপর তিনি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে ১০দিন পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বরিশাল নেওয়া হয়। ২৫ এপ্রিল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের পরিচালক মোহম্মদ বাকির হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ওই নারীর শ্বাসকষ্ট ও জ্বর ছিল। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রতিবেদন এখনো হাতে পাননি তাঁরা।

এদিকে বিষয়টি গোপন রেখে স্বজনেরা বৃহস্পতিবার সকালে লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে জানাজা শেষে দাফন করেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নির্দেশনা মানা হয়নি। পাশাপাশি ওই নারীর বাড়ি লকডাউন ও পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ‌‘ওই নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কি না, তাঁর স্বজনেরা আমাদের জানায়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, মারা যাওয়া নারীর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তাঁর সংস্পর্শে আসা স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ এবং বাড়ি লকডাউনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।