Thank you for trying Sticky AMP!!

কলারোয়ায় একই রশিতে গৃহবধূ ও যুবকের ঝুলন্ত লাশ

ঝুলন্ত লাশ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের একটি আমগাছে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূ ও এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। তবে এটি আত্মহত্যা না হত্যা, তা অনুসন্ধান করে দেখছে পুলিশ।

মৃত গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (৪০) কলারোয়া উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ আহসানের স্ত্রী এবং যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে।

ফাতেমার মেয়ে হাফসা লায়লা বলেন, তাঁর মা প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার রাতেও তাঁর পাশে রাত সাড়ে ১০টা দিকে ঘুমিয়েছিলেন। আজ সকালে চিৎকার-চেঁচামেচিতে তাঁর ঘুম ভাঙে। পরে তিনি দেখেন, মা ও অন্য একজন এক রশিতে বাড়ির একটি আমগাছে ঝুলছেন। মৃত ফাতেমার স্বামী পেশায় কৃষক ও বাক্‌প্রতিবন্ধী।

প্রতিবেশীরা বলেন, ছোট আমগাছে দুটি মৃতদেহ ঝোলানো দেখে তাঁদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটি আত্মহত্যা, নাকি কেউ হত্যা করে তাঁদের এখানে ঝুলিয়ে রেখেছে, তা নিয়ে তাঁদের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ছেলেটি ১০০ কিলোমিটার দূরের সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে কীভাবে এখানে এসেছেন, আবার তাঁরা আত্মহত্যাই–বা কেন করবেন, সেটা বোধগম্য নয়।

মৃত ফাতেমার ছোট জা সানজিদা খাতুন বলেন, ফাতেমা ও শেখ আহসান দম্পতির বিয়ে হয়েছে ২৫ বছর। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ঘটনাটি তাঁদের কাছে রহস্যজনক লাগছে।

ফাতেমার বড় বোনের স্বামী তরিকুল ইসলাম বলেন, ফাতেমা খুব ভালো মানুষ। তাঁর ধারণা, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে কারা রয়েছেন, তা তদন্ত করে বের করার দাবি জানান তিনি।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল কবীর বলেন, সকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারী ও এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা না হত্যা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।