Thank you for trying Sticky AMP!!

কসবায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১১

ছাত্রদলের দুইপক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় পুলিশ। শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সদরে

কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদলের দুই পক্ষ। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক শিশু, পথচারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জেলা ও উপজেলা ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন শিমুল মিয়াকে আহ্বায়ক এবং সাদ্দাম হোসেনকে সদস্যসচিব করে কসবা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন বলে প্রচার করা হয়। যদিও জেলা ছাত্রদল দাবি করে, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ওই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এ জন্য জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ স্বাক্ষরে শিমুল মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পরে ৭ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ছাইদুল্লাহকে আহ্বায়ক এবং আরিফুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

আজ বিকেলে কসবা পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় আলোচনা সভা ও বিজয় মিছিলের ঘোষণা দেয় সাইফুল্লাহ ও আরিফুল ইসলামের আহ্বায়ক কমিটি। অপর দিকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় শিমুল মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনের আহ্বায়ক কমিটি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেলে ছাত্রদলের দুই পক্ষই মিছিল বের করে। উপজেলার জনতা টাওয়ারের সামনে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন রড, দা, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ থেকে ছোড়া ইট মাথায় লেগে এক শিশু আহত হয়। সংঘর্ষে পথচারীসহ ছাত্রদলের দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রদলের দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সদরে

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী বলেন, ছাইফুল্লাহকে আহ্বায়ক ও আরিফুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজ উদ্দিনের স্বাক্ষর নকল করে একটি ভূয়া কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।