Thank you for trying Sticky AMP!!

কাঁচা ঘর ভেঙেছে, ফসল তলিয়ে গেছে পানিতে

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে জেলায় আম ও পানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তরমুজ, কলা ও মুগখেত অতিবৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। অসংখ্য কাঁচা–পাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।

জেলা শহর এবং সদর উপজেলার বোয়ালমারী, তালতলা, হাজরাহাটি, চাঁদপুর, কুলচারা ও সাতগাড়ি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব চোখে পড়ে। বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে ও বাগানে অসংখ্য গাছ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। অতিবর্ষণে ফসলের খেতগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসলের জমি থেকে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় গ্রামের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক মো. আলী হাসান জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ১ হাজার ১৭২ হেক্টর জমির আম, ৬৬৪ হেক্টরের কলা, ১ হাজার ৭৭৪ হেক্টর জমির শাকসবজি, ৬২৭ হেক্টর জমির পান ও ১ হাজার ২১০ হেক্টর জমির মুগডাল তলিয়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা লাবলুর রহমান জানান, বোয়ালমারী এলাকায় তিন লাখ টাকা চুক্তিতে আমবাগান বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন, সপ্তাহখানেক আগে ঝড়ে ৮০ মণ আম পড়ে যায়। আম্পানে বাকি আমও ঝরে গেছে।

হাজরাহাটি গ্রামের কৃষক হাবিল মল্লিক জানান, ১০ হাজার টাকা বছর চুক্তিতে ১০ কাঠা জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। ওই বরজ থেকে ছয় সদস্যের পরিবারের খরচ জোগাতেন। কিন্তু আম্পানে সব শেষ।