Thank you for trying Sticky AMP!!

গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ ও নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বড় বাস বগুড়ার শেরপুরে এসে বিকল্প সড়ক দিয়ে কাজীপুরে ঢুকছে। মঙ্গলবার এখানে আসার পর সোনামুখী বাজার এলাকায় বাসগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে বিক্ষোভ করছে

কাজীপুরে ঢাকাগামী শতাধিক বাস আটকে দিল পুলিশ

করোনা নিয়ন্ত্রণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোরে বিকল্প সড়কে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ছে যাত্রীবাহী বাস। এমন অনেক বাস সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে আটকে দিয়েছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার পুলিশ। এখনো শতাধিক বাস সড়কের ওপরেই আটকে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ ও নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশে দূরপাল্লার বড় বাসগুলো বগুড়ার শেরপুরে এসে বিকল্প সড়ক দিয়ে কাজীপুরে ঢুকে যাচ্ছে—এমন খবর পেয়ে পুলিশ কাজীপুরের সোনামুখী বাজার পয়েন্টে বাসগুলো আটকে দিয়েছে। এতে কিছু বাস ফিরে গেলেও অনেক বাস সড়কের ওপরে থেমে থাকায় সড়কটিতে যানজট দেখা দিয়েছে। ফলে কাজীপুর থেকে ধুনট হয়ে শেরপুর–বগুড়ার দিকে অন্য কোনো যানবাহন ঢুকতে পারছে না।

বাস আটকে দেওয়ায় যাত্রীরা পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত সকাল নয়টায় অনেক যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। কিন্তু থানা-পুলিশ তাদের সিদ্ধান্তে অটল।

দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা রাহবার পরিবহনের চালক হাসেম আলী (৪৮) বলেন, ‘আমাদের হয় খাবার দিন, না হয় গাড়ি চালাতে দিন।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনা কি শুধু বাসেই ধরে? সবই খোলা। তাহলে আমাদের পেটে লাথি কেন? ট্রাকে যাত্রী গেলে করোনা ধরে না, বাসে গেলে করোনা ধরে—এটি সরকারের কেমন নীতিকথা!’

মহাসড়কে না গিয়ে আঞ্চলিক সড়কে কেন এলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আল হেরা পরিবহনের একজন চালক বলেন, ‘ভাবছিলাম, এদিক দিয়ে সহজেই পার হয়ে যেতে পারমু। কিন্তু এখানেও আটকে দিল। গাড়ি না চললে আমরা পরিবার–পরিজন নিয়ে কী খামু?’

গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ ও নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বড় বাস বগুড়ার শেরপুরে এসে বিকল্প সড়ক দিয়ে কাজীপুরে ঢুকছে। মঙ্গলবার এখানে আসার পর সোনামুখী বাজার এলাকায় বাসগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে বিক্ষোভ করছে

রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আবদুল কাদের (৩৮) নামের এক যাত্রী। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ট্রাকে গাদাগাদি করে মানুষ যাচ্ছে, তখন করোনা ধরবে না, আর আমরা এক আসন করে খালি রেখে বাসে যেতে চাইছি, তাতেই বাধা দিচ্ছে। এটা কেমন নিয়ম! এখন ঢাকায় ফিরতে না পারলে আমার চাকরি চলে যাবে।’

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চনন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো গণপরিবহনকে আমরা ঢাকার উদ্দেশে কাজীপুর হয়ে যেতে দেব না। ঈদের আগেও আমরা গাড়ি ফেরত পাঠিয়েছিলাম। সব জেনেও বাসের চালকেরা এই সড়কে ঢুকেছে। তাই বাধ্য হয়ে বাসগুলোকে আটকে দেওয়া হয়েছে।’