কাঠের গুঁড়া–আগাছায় ক্ষতিকর রং দিয়ে ‘মসলা’ তৈরি, জরিমানা
ভুসি, পাউডার, কাঠের গুঁড়া, ক্ষতিকর রং ও আগাছা মিশিয়ে তৈরি মসলা বিক্রি করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জে, এমন খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদরের পল্লী এলাকার একটি মসলা মিলে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। মিলে ১ হাজার ৫৮০ কেজি ভেজাল মসলা ছাড়াও ৬৩০ কেজি মসলায় মিশ্রণের জন্য রাখা ভুসি, পাউডার, কাঠের গুঁড়া, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার, আগাছা আর নিম্নমানের মসলা পাওয়া গেছে।
পরে মসলা মিলটির মালিক রুবেল মিয়াকে (৩৩) দুই লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মিলমালিক রুবেল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের বড়ভাগ উত্তরপাড়া গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে। জব্দকৃত এসব ভেজাল মসলা ও মসলার মিশ্রণ ডোবায় ফেলে বিনষ্ট করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিলমালিক রুবেল মিয়া তিন মাস ধরে ভুসি, পাউডার, কাঠের গুঁড়া, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার ও আগাছা মিশিয়ে ধনে, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া উৎপাদন করে আসছিলেন। এসব ভেজাল মসলা পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যেত জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব-১৪–এর সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খানের নেতৃত্বে বড়ভাগ উত্তরপাড়া গ্রামের ওই মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক।
হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা ছাড়াও ভেজাল মরিচ, হলুদ ও ধনের গুঁড়া তৈরি করে বাজারজাত করার জন্য ৬৩০ কেজি ভেজাল উপকরণ মজুত করা হয়েছিল। এটি নিশ্চিতভাবে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
র্যাবের কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান বলেন, মঙ্গলবার দিনব্যাপী র্যাবের ভেজালবিরোধী অভিযানে জেলা শহরের তিনটি রেস্টুরেন্টকেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার ফ্রিজিং ও পরিবেশনের দায়ে শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার তাজ রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা ও ঈশা খাঁ সড়কের পানসী রেস্টুরেন্টকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান গৌরাঙ্গবাজার এলাকার স্টার ওয়ান রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।