Thank you for trying Sticky AMP!!

কাঁচা রাস্তায় কাদায় ভোগান্তি হয়। তাই গ্রামের লোকজন চাঁদা তুলে ইট-বালু কিনে পাকা করছেন। গতকাল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে।

কাদায় ভোগান্তি, স্থানীয় উদ্যোগে চলছে সংস্কার

তিন গ্রামের মানুষের বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় যাওয়ার উপায় ছিল না। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে কাদা আর কাদা। মাঠের ফসলও ঘরে তুলতে কষ্টের শেষ ছিল না এসব গ্রামের কৃষকদের। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে তাঁরা ছুটেছেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি।

অবশেষে নিজেদের অর্থে সেই সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করছে সমাজ কল্যাণ তরুণ সংঘ। এ ঘটনা ঝিনাইদহ সদরের। উপজেলার দুর্গাপুর, ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের তরুণ-যুবকেরা গড়ে তুলেছেন এই সংঘ। ইতিমধ্যে রাস্তাটির ৬০ শতাংশে ইট বিছানোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হতে আরও ৫ থেকে ৬ দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা।

তিন মাস আগে সমাজ কল্যাণ তরুণ সংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুর্গাপুর ও ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের ২ শতাধিক তরুণ সংগঠনের সদস্য। গ্রাম উন্নয়নের জন্য তাঁরা সংগঠনটি গড়ে তুলেছেন। ১৭ সদস্যের কমিটি। তাঁরা নিয়মিত সভা করেন এবং গ্রামের মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে তার সমাধান খোঁজেন।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৌমিক আহম্মেদ বলেন, দুর্গাপুর, ভাদালীডাঙ্গা ও পার্শ্ববর্তী বেতাই গ্রামের সাড়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মানুষের কষ্টের একটি বড় কারণ। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে রাস্তায় কাদা হয়। এ বছর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন নিজেরাই ইট বিছানো রাস্তা তৈরি করবেন। গত ২৭ জুন থেকে রাস্তায় ইট বিছানো কাজ শুরু করেছেন। বেলেখাল-গান্না সড়কের কচাতলার মোড় থেকে দুর্গাপুর, ভাদালীডাঙ্গা, বেতাই গ্রামের কিছু অংশ হয়ে রঘুনাথপুর স্কুল পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা পাকা করার কাজ করছেন। দুই গ্রামের ছেলেরা এই কাজে অংশ নিচ্ছেন। বয়স্করাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত তাঁরা ১০০ ট্রাক্টর ইট কিনেছেন। বালু দিতে হয়েছে আরও ৭০ ট্রাক্টর। খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মোট তিন লাখের বেশি টাকা ব্যয় হবে। এই টাকা গ্রামের মানুষ দিয়েছেন। অনেকে টাকা দিতে পারেননি। তাঁরা ধান দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াজেদ আলী বলেন, তিনিও রাস্তার কাজ করছেন। গ্রামের ছেলেরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে।

গান্না ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওয়াবদুল হক বলেন, তিনি অল্পদিন এই দায়িত্বে আছেন। মাঝেমধ্যে পরিষদের পক্ষ থেকে মাটির কাজ করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হতো। এখন গ্রামের ছেলেরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা খুবই ভালো।