Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আদালত

ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-২ আদালতের বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান আজ বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন ঝালকাঠি শহরের স্ট্যান্ড রোডের সিটি পার্ক এলাকার মো. রানা খলিফা (২৭) ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠি এলাকার মো. নাদিম মৃধা (৩১)। রায় ঘোষণার সময় দুজনেই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথি ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভাড়া বাসায় কিশোরীকে একা পেয়ে রানা খলিফা ও নাদিম মৃধা তুলে নিয়ে যান। বাসার পাশের খালপাড়ের একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন রানা খলিফা। আর ধর্ষণে সহায়তা করেন নাদিম মৃধা। পরদিন সকালে বাসায় ফিরে কিশোরীকে সেই বাগান থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন তার মা।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা ১৮ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি সদর থানায় রানা খলিফা ও নাদিম মৃধাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। কিছুদিন পর কিশোরীর শরীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জানতে পারেন মেয়েটি গর্ভবতী। একই বছরের শেষের দিকে ওই কিশোরী কন্যাসন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র একই বছরের ১৫ সেপ্টম্বর আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা গৌতম কুমার ঘোষ।

আদালতের বিচারক রায়ের আদেশে বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুটির বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভরণপোষণের ব্যয় রানা খলিফার ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে অর্থ আদায় করে খরচ চালাবেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে রানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা রানার সম্পদ থেকে আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জামা দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন রানা খলিফা এবং ওই কন্যাশিশুর আসল বাবাও তিনি। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য–প্রমাণের মাধ্যমে ঘটনাটি প্রমাণ করতে পেরেছে। আদালতের রায়ে আমরা সন্তষ্ট।’
এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামির পরিবার উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী আল–আমিন।