Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমিল্লায় করোনায় তিন মাসে ১২১ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

কুমিল্লা জেলায় ৩ মাসে ১২১ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মারা গেছেন দেবীদ্বার উপজেলায়। সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে হোমনা ও তিতাস উপজেলায়। মেঘনা উপজেলায় এ রোগে কেউ মারা যাননি। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন ও জেলার করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন চিকিত্সক মো. সাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের ৫২ বছরের এক ব্যক্তি প্রথম এ রোগে মারা যান। এরপর গত তিন মাসে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবে এই জেলায় এ পর্যন্ত ১২১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দেবীদ্বার উপজেলায় ২০ জন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১৬ জন, মুরাদনগরে ১৪ জন, চান্দিনায় ১৩ জন, চৌদ্দগ্রামে ১০ জন, আদর্শ সদর, নাঙ্গলকোট, লাকসাম উপজেলায় ৮ জন করে, মনোহরগঞ্জে ৬ জন, বরুড়া ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ৪ জন করে, বুড়িচং, দাউদকান্দি, সদর দক্ষিণ ও লালমাইয়ে ২ জন করে এবং হোমনা ও তিতাসে ১ জন করে মারা গেছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কুমিল্লার বাসিন্দা, যাঁরা কুমিল্লার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল বা বাসাবাড়িতে মারা গেছেন, তাঁদের নাম এই তালিকায় নেই। এগুলো ধরলে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন, এমন অনেকের নমুনা নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হতো, তাহলে এই সংখ্যা আরও বাড়ত।

কুমিল্লার দেবীদ্বারে লাশ দাফনে জড়িত হ্যালো ছাত্রলীগের ওরা ৪১ জনের উদ্যোক্তা কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, ‘গত ১৬ মে থেকে আমরা লাশ দাফন করছি। এ পর্যন্ত ৪০ জনের মতো লাশ দাফন করেছি।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় লাশ দাফনে জড়িত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ৫৩টি লাশ দাফন করেছি। করোনা পজিটিভ এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ আমরা দাফন করি।’

জেলার সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, কুমিল্লায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৭৩ জন। মারা গেছেন ১২১ জন। সংকটাপন্ন রোগীদের বেশির ভাগই মারা যাচ্ছেন।