Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ১৬, এক পরিবারের ছয়জন

প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার দক্ষিণ লাকসাম এলাকায় একই পরিবারের ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ৭২ বছর বয়সী এক পুরুষ, তাঁর স্ত্রী (৬০), তাঁদের ছেলের স্ত্রী (৩৬), তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে ও ১২ বছরের ছেলে। বয়স্ক দম্পতির আরেক ছেলের ২৬ বছর বয়সী স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬ জন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হলো। এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ জন। আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ও জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন মো. সাহাদাৎ হোসেন।

মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে লাকসামে একই পরিবারের ছয়জন আছেন। এ ছাড়া দেবীদ্বারের ছয়জন, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় দুজন, বরুড়া ও তিতাস উপজেলায় একজন করে আছেন।

এর মধ্যে বরুড়া উপজেলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) করোনা শনাক্ত হওয়ার কারণে কুমিল্লা ও বরুড়ার দুটি হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। ওই এসআইয়ের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে কয়েক দিন আগে কুমিল্লা নগরের বাদুরতলা এলাকার একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে যান। এ ছাড়া বরুড়া উপজেলার ডক্টরস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এই কারণে হাসপাতাল দুটি লকডাউন করা হয়। এ ছাড়া বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিশাত সুলতানা এসআইয়ের স্ত্রীকে দেখভাল করার কারণে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর ও নবীয়াবাদ এলাকায় কমিউনিটি সংক্রমণের কারণে চান্দিনা-দেবীদ্বার সড়ক লকডাউন (অবরুদ্ধ) করে রাখা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে তিতাস উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ জন, লাকসামে ১০ জন, দেবীদ্বারে ৯ জন, দাউদকান্দিতে আটজন, বুড়িচংয়ে আটজন, মুরাদনগরে ছয়জন, চান্দিনায় চারজন, বরুড়ায় তিনজন, মনোহরগঞ্জ তিনজন সদর দক্ষিণে দুজন, হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম ও মেঘনা উপজেলায় একজন করে। সুস্থ হয়েছেন তিতাসের চারজন ও বুড়িচংয়ের তিনজনসহ মোট সাতজন।

সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের এলাকা বাড়ছে। জনগণকে সচেতন হতে হবে। ঘরবাড়ি ও বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, আদর্শ সদর উপজেলা, লালমাই ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনারোগী শনাক্ত হয়নি।