Thank you for trying Sticky AMP!!

কুষ্টিয়ায় জ্বর-শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া যুবকের করোনা 'পজিটিভ'

প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া নিমাই (৩৬) করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ছিলেন। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। একই সময়ে প্রকাশিত নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জেলায় ৭ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নতুন করে ২১ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কুষ্টিয়া জেলার ১২৭টি নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে ২১ জনকে করোনায় সংক্রমিত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ভেড়ামারারই ১০ জন, যা উপজেলায় এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক শনাক্তের রেকর্ড।

ভেড়ামারায় শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন মারা যাওয়া যুবক নিমাই। তিনি ভেড়ামারা পৌরসভার কুণ্ডুপাড়া এলাকার বাসিন্দা; পেশায় মুদি দোকানদার ছিলেন। জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নিমাই গত মঙ্গলবার মারা যান। মারা যাওয়ার পরপরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই উপজেলায় মোট শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনই ব্যাংক কর্মকর্তা।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ বলেন, নিমাইয়ের পরিবারের অন্তত সাত থেকে আটজন জ্বরে আক্রান্ত। তাঁদের বাড়ি লকডাউন (অবরুদ্ধ) অবস্থায় আছে। সবার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা লকডাউন করা হয়েছে।


জেলায় করোনায় সংক্রমিত হিসেবে নতুন শনাক্ত বাকি ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৫ জন, দৌলতপুরের ২ জন, মিরপুরের দুজন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং কুমারখালী ও খোকসার একজন করে।

সব মিলিয়ে কুষ্টিয়া এ পর্যন্ত করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২৮ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫২ জন, ভেড়ামারায় ৫০জন, দৌলতপুরে ৪৪, কুমারখালীতে ৪২, মিরপুরে ২৫ ও খোকসায় ১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৫২ ও নারী ৭৬ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন; সুস্থ হয়েছেন ৭৭ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন ২৩৪ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ জন।