Thank you for trying Sticky AMP!!

কেইপিজেড খুলছে কাল, করোনা ঝুঁকিতে ২৫ হাজার শ্রমিক

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) খুলছে আগামীকাল রোববার। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার মধ্যে এটি খোলা হচ্ছে। ফলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে কাজে ফিরবেন কেইপিজেডের ২৫ হাজার শ্রমিক।

স্থানীয় ও কেইপিজেড সূত্র জানায়, কেইপিজেডের ২১টি কারখানায় ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অফিসসূচি হলেও তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন হয় কেইপিজেডের এসব কারখানায়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার কঠোর হলে গত ২৮ মার্চ থেকে আজ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কেইপিজেড ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ির মধ্যে এসব শ্রমিকেরা কীভাবে কর্মস্থলে আসবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। শ্রমিকেরা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান নেওয়া দরকার হলেও কেইপিজেডের শ্রমিকেরা গাদাগাদি করে আসা–যাওয়া করেন। একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন তাঁরা।

এদিকে করোনা মোকাববিলায় আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন কঠোর হলেও কেইপিজেড খোলার খবরে দোটানায় পড়েছে তারা। কারণ, আনোয়ারা ছাড়াও কর্ণফুলী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা–যাওয়া করেন এসব শ্রমিকেরা।
কেইপিজেডের একটি কারখানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কেইপিজেডের শ্রমিকেরা কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া করে চাকরি করেন। গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় আগামীকাল তাঁরা কীভাবে কাজে আসবেন, তা ভাবছে না নীতি–নির্ধারকেরা। এতে শ্রমিক-কর্মকর্তার মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, 'কাল কেইপিজেড খুলবে। আমরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে উৎপাদন শুরু করব।'

আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, 'জানি না কাল কী হতে যাচ্ছে।'