Thank you for trying Sticky AMP!!

কেশবপুরে ভোটের মাঠে স্বজনে-স্বজনে জমজমাট লড়াই

পৌরসভা নির্বাচন

যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি ওয়ার্ডে শাশুড়ি-পুত্রবধূ, শ্যালক-দুলাভাই ও দুই ভাই নির্বাচনী মাঠে লড়াই করছেন।

কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাসির উদ্দীন ও বর্তমান কাউন্সিলর জামাল উদ্দীন লড়ছেন। তাঁরা সম্পর্কে দুলাভাই ও শ্যালক। নাসির উদ্দীনের চাচাতো শ্যালক জামাল উদ্দীন। একই ওয়ার্ডে শাশুড়ি রাশিদা খাতুন ও পুত্রবধূ খাদিজা খাতুন সংরক্ষিত নারী আসনে লড়ছেন। রাশিদার চাচাতো দেবরের ছেলের বউ খাদিজা খাতুন। আবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের মাঠে রয়েছেন আপন দুই ভাই আবদুল গফুর মোড়ল ও আবদুল হালিম মোড়ল।

সাধারণ ভোটাররা প্রার্থীদের সম্পর্কের বিষয়গুলো আলোচনা করছেন। তবে প্রার্থীরা আত্মীয়তার বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে ভোটের মাঠে লড়াইটাকে বড় করে দেখছেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, তাঁদের ওয়ার্ডে ভোট জমে উঠেছে। মানুষ সার্বক্ষণিক ভোটের হিসাব-নিকাশ কষছেন। সব মিলিয়ে এই ভোটের উৎসব চলছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুই ভাইয়ের লড়াই ভোটাররা উপভোগ করছেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নাসির উদ্দীন বলেন, ভোটের মাঠে সম্পর্ক থেকে বড় হলো কথার লড়াই। যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন, তিনিই জিতবেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল উদ্দীন বলেন, মানুষ সম্পর্কের কথা না ভেবে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাঁকেই ভোট দেবেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী খাদিজা খাতুন বলেন, ‘শাশুড়ি ভোট চাইছেন তাঁর মতো করে। আমি ভোট চাইছি আমার মতো করে। ভোটাররা সঠিক প্রার্থীকেই বেছে নেবেন।’

৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল গফুর মোড়ল মনে করেন, দুই ভাই ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে মানুষ যেসব প্রশ্ন করছেন, তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলীয় অবস্থান আলাদা। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। আর ভাই হালিম বিএনপির সমর্থক।’ দুজন দুই দলের হওয়ায় আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আবদুল হালিম মোড়ল মনে করেন, সম্পর্কের বিষয়ের চেয়ে বড় জনসমর্থন। তিনি বিএনপির সমর্থক হওয়ায় তাঁর প্রতি অনেকের সমর্থন। হুমকি-ধমকি আছে; তারপরও মানুষ ভোট দিতে পারলে তাঁরই জয় হবে।