Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্রেতারা আগ্রহী, ডিলার অনাগ্রহী

রংপুর নগরে রমজানের প্রথম দিনে টিসিবির পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। গতকাল সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ের সামনে। ছবি: প্রথম আলো

রংপুর নগরের ওই সাতটি স্থান হলো রেলওয়ে স্টেশন বাজার, সিটি বাজারের সামনে, প্রেসক্লাব এলাকা, কাচারি বাজার, শালবন, সিও বাজার ও লালবাগ এলাকা। গতকাল এসব স্থানে চিনি প্রতি কেজি ৫৩ টাকা, ছোলা ৭৭ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৭ টাকায় বিক্রি হয়।

গতকাল নগরের কাচারি ও সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এসব পণ্য কিনতে ভিড় করেছেন।

কাচারি বাজারে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা সরকারি কর্মচারী সোহানুর রহমান বলেন, ‘খোলাবাজার থেকে অনেক কম দামে এসব পণ্য কিনছি।’ সিটি বাজারের সামনে পণ্য কিনতে আসা জলকর এলাকার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার থেকে কেজি প্রতি ছোলা ১৭ টাকা কম। প্রতিটি পণ্যের দামও কম। তাই টিসিবির এসব পণ্য কিনছি।’

টিসিবি সূত্রে আরও জানা যায়, রংপুরে ১৩৬ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ডিলারের পণ্য তোলারই আগ্রহ নেই। ফলে পুরোদমে জেলায় টিসিবি পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

পণ্য উত্তোলন করেননি রংপুর নগরের কামালকাছনা এলাকার ডিলার দ্বীপ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আফতাব হোসেন। তিনি গতকাল বলেন, ‘ব্যক্তিগত অসুবিধা থাকার কারণে এখনো পণ্য উত্তোলন করতে পারিনি। তবে খুব শিগগির এসব পণ্য তুলে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করব।’

কামালকাছনা এলাকা বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই রমজান মাসে টিসিবির পণ্য প্রতিটি ডিলারেরই উত্তোলন করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা উচিত। সরকারের এই উদ্যোগকে সফল করে তুলতে ডিলারদের বড় ভূমিকা থাকতে হবে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব বলেন, শহরে কয়েকটি স্থানে টিসিবির পণ্য ট্রাকে করে বিক্রি হওয়ায় খোলাবাজার স্থিতিশীল রাখতে
সহায়ক ভূমিকা রাখছে। রমজান মাসজুড়ে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।