Thank you for trying Sticky AMP!!

কয়রায় ১৪ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত, চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে দক্ষিণ বেদকশী ইউনিয়নের বাঁধ। কয়রা, খুলনা, ২১ মে। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলা প্রায় ১৪ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাকবাড়িয়া ও কপোতাক্ষ নদীর অন্তত সাতটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আর এতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

উপজেলার সহাকারী কমিশনার (ভূমি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, চারটি ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে কয়রা সদরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ পুকুরে নদীর লোনা পানি ঢুকে মাছ মারা যাচ্ছে। আর গোটা উপজেলায় প্রায় ১৪ হাজার বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বেদকাশী ইউনিয়নের চারপাশ ঘিরে রয়েছে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদী। নদীর ওপর পাশেই সুন্দরবন। ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২৯টি স্থানেই ভেঙে যায় আইলার সময়। এলাকার মানুষ পানিবন্দী থাকেন প্রায় চার বছর। তত দিনে নোনা পানির প্রভাবে মারা যায় এলাকার প্রায় সব গাছপালা। ২০১৩ সালে কোনো রকম জোড়াতালি মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়েছিল। এরপর আর স্থায়ী কোনো বাঁধ হয়নি। এ কারণে সামান্য ঝোড়ো হাওয়া বা জলোচ্ছ্বাস হলেই আতঙ্কে থাকেন ওই এলাকার মানুষ।

আইলার মতো আবারও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীকে। বুধবার রাত আটটার দিকে নদীর প্রবল পানির চাপে শাকবাড়িয়া নদীর অন্তত তিনটি স্থানে ভেঙে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। পরে আরও ভেঙে যায় অন্তত সাতটি স্থান। রাতেই মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ভালো থাকা বাঁধের ওপর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সকালেও অনুমান করা যায়নি। তবে কয়েক শ কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে। কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও গবাদিপশু-পাখির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম শামসুর রহমানের ছেলে জি এম মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন বলেন, প্রবল জোয়ারের পানির চাপে ইউনিয়নের আংটিহারা, গোলখালী, ঘড়িলালসহ আরও কয়েকটি স্থানের বাঁধ ভেঙে গেছে। পুরো ইউনিয়ন এখন পানিতে তলিয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে আইলার চেয়ে বেশি হতাহত ও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, একদিকে জোয়ারের পানির চাপ, অন্যদিকে প্রবল বাতাস সব মিলিয়ে বাঁধ আর টিকতে পারেনি। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে ওই এলাকা প্লাবিত হয়েছে।