খুলনায় ২২ জুন থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে খুলনা জেলা ও মহানগরে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ওই লকডাউন কার্যকর থাকবে। আজ শনিবার দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ছাড়া কোনো গণপরিবহন খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও খুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনা সদর (জেনারেল) হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি আগামীকাল রোববার থেকে চালু হবে। করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে। সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে নগরে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। কঠোর লকডাউন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা ও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।
আজকের বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা ও সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এস এম ফজলুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. রবিউল হাসান, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক এম ডি এ বাবুল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
-
এক হাজার টাকার খেলাপি জেলে, ১০ হাজার কোটি টাকার খেলাপি সরকারের পাশে
-
শিশু পাচার ও নির্যাতনের অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা
-
সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে নতুন পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে
-
১৯৭৫ সালের পর সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে গত ৭ জানুয়ারি: ওবায়দুল কাদের
-
তাপপ্রবাহে যশোরে মহাসড়কের বিটুমিন গলার ঘটনা তদন্তে দুদক