Thank you for trying Sticky AMP!!

খুলনায় খাদ্যের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

খাদ্য সরবরাহ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন খুলনার রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকার মানুষ। তাঁরা রূপসা এলাকার বিভিন্ন মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করতেন। বর্তমানে কারখানাগুলো বন্ধ। তাই পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারায় আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা রাস্তায় নেমে আসেন।

পূর্ব রূপসা এলাকার মানুষ আজ মিছিল করতে করতে পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি পেয়ে তাঁদের কাছে দাবিগুলো তুলে ধরেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, সরকারি নির্দেশ এলাকার প্রতিটি পরিবারের মানুষ ঘরে অবস্থান করছে। কারখানা বন্ধ থাকায় তাদের উপার্জন বন্ধ। ঘরে থাকা চাল, ডালসহ খাদ্যসামগ্রী ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বা খাদ্য আসেনি। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের জানানো হলেও তাঁরা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতারাও তাঁদের খোঁজ নিচ্ছেন না। এতে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব রূপসা এলাকার অধিকাংশ মানুষ পাশের মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে সব কারখানায় বর্তমানে বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। কাজ না থাকায় তাঁদের হাতে কোনো টাকাও নেই।

এ বিষয়ে রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নে চার–পাঁচ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। একটি কারখানা ছাড়া বাকিগুলো শ্রমিকদের বেতন দেয়নি। মালিক ও ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের বেতন সময়মতো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ইউএনও জানান, রূপসা একটি বিশাল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে সরকারি সহযোগিতার চাল এসেছে ৬১ টন। এই চাল মাত্র সাত হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু পূর্ব রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নেই নিম্ন আয়ের শ্রমিক রয়েছেই পাঁচ থেকে ছয় হাজার।