Thank you for trying Sticky AMP!!

খুলনায় গ্রেপ্তার রুহুলের জামিন হয়নি, মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও রুহুল আমিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন। আজ রোববার খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আজ রোববার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে ওই আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম তা নামঞ্জুর করেন। এর আগে ১ মার্চ দুদিনের রিমান্ড শেষে সিএমএম কোর্ট থেকেও জামিন নামঞ্জুর হয় রুহুলের।

শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের আরেক সমন্বয়ক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, বেশ কয়েকজন আইনজীবী আদালতের কাছে রুহুল আমিনের জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এটা নিয়ে দুবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন রুহুল আমিন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে খুলনা নগরের খালিশপুর থানার গোয়ালখালী এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে সাদাপোশাকের পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। রাতেই তাঁর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মো. নাহিদ হাসান। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি তথা সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন করাসহ বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার এবং জনগণের মধ্যে শত্রুতা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে রোববার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুরের প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘খুলনার সচেতন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, বাসদ মার্ক্সবাদী কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য সত্যজিৎ বিশ্বাস, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন আহমেদ গাজী, উদীচীর খুলনা জেলা সভাপতি অসীম বিশ্বাস, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সদস্য আলমগীর কবির, মোশাররফ হোসেন, মাতঙ্গী নাট্যদলের সদস্য জয়ন্ত কুমার গাইন, আগুয়ান একাত্তরের সভাপতি আবদুল্লাহ চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি সঞ্জিত কুমার মণ্ডল, খুলনা ফিল্ম সোসাইটির সদস্যসচিব সাহেদ শুভ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, দমন-পীড়ন ও ভয়-আতঙ্ক তৈরি করে জনতার সংগ্রামী কণ্ঠকে কখনো স্তব্ধ করা যায়নি। ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ জনগণ রুখে দেবে। রুহুল আমিনের মুক্তির লড়াই একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ারও লড়াই। আজকে এটা প্রমাণিত, এই আইন তৈরি করা হয়েছে প্রতিবাদী রুহুল আমিনদের দমন এবং শাসকদের রক্ষার জন্য। বক্তারা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে রুহুল আমিনের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।