Thank you for trying Sticky AMP!!

গলায় আটকাল জ্যান্ত কই, অস্ত্রোপচার করে রক্ষা

বিলে মাছ ধরতে নেমেছিলেন এক তরুণ। হাতড়ে পান একটি কই মাছ। সেটি না রাখতেই পায়ের তলায় পান আরেকটি মাছ। এখন কী করেন? তড়িঘড়ি করে প্রথমটি মুখে কামড় দিয়ে ধরে দ্বিতীয় মাছটি ধরতে যান তরুণ। তখনই ঘটে বিপত্তি। মুখের কইটি ঢুকে যায় গলায়।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে মাছটি বের করেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে ওই তরুণ শঙ্কামুক্ত হলেও নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

ওই তরুণের নাম মো. শফিকুল ইসলাম (২০)। তিনি নোয়াবাদ গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে।

শফিকুল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অবস্থা শঙ্কামুক্ত হলেও তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আ ন ম নৌশাদ খান, অধ্যক্ষ, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, করিমগঞ্জ

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শফিকুল মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরতে যান। এ সময় তাঁর হাতে একটি কই ধরা পড়ে। সেটি না রাখতেই তাঁর পায়ের নিচে আরেকটি মাছ পান। আগের মাছটি মুখে কামড় দিয়ে ধরে পায়ের নিচের মাছটি ধরতে যান তিনি। এ সময় মুখের মাছটি তাঁর গলায় ঢুকে যায়।

স্থানীয় লোকজন শফিকুলকে উদ্ধার করে জাফরাবাদ এলাকায় বেসরকারি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে সন্ধ্যার পর নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান কামিনী কুমার ত্রিপুরার তত্ত্বাবধানে একদল চিকিৎসক গলায় অস্ত্রোপচার করে কই মাছটি বের করেন।


জানতে চাইলে হাসপাতালটির অধ্যক্ষ আ ন ম নৌশাদ খান আজ বুধবার বলেন, শফিকুল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অবস্থা শঙ্কামুক্ত হলেও তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।