গাইবান্ধায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
অবিরাম ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলে দ্বিতীয় দফায় গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ৩টা থেকে আজ সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৩টি উপজেলার নদীতীরবর্তী আরও ৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এই ইউনিয়নগুলো হলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি। এ নিয়ে জেলার ১৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলো।
এ ছাড়া গতকাল প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলোর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। ঘাঘট নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের ডেভিট কোম্পানি এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদ–নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আজ বেলা তিনটায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে প্রতিটি নদ-নদীর পানির বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েক দিনে পানি আরও বাড়তে পারে। পানি বাড়লে বড় বন্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে
-
আইসিইউর এসি নষ্ট, অস্ত্রোপচারও বন্ধ, কষ্টে রোগীরা
-
দিনাজপুরে ভোট গণনার পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১
-
এবার ‘কিপটে’ মোস্তাফিজের ২ উইকেট, বড় জয়ে শীর্ষ তিনে ফিরল চেন্নাই
-
ঢাকাসহ ৫ জেলা: মাধ্যমিক সোমবার বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকছে