Thank you for trying Sticky AMP!!

গাইবান্ধায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শিশু আরিফুল ইসলাম (১৩) হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার দীর্ঘ আট বছর এক মাস পর বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট গ্রামের গোলজার রহমান খন্দকার, সাহেব খন্দকার, হারুন খন্দকার, ফরিদুল ইসলাম খন্দকার ও জরিদুল ইসলাম খন্দকার। এর মধ্যে গোলজার খন্দকার ও সাহেব খন্দকার ওই গ্রামের মৃত মছির উদ্দিন খন্দকারের ছেলে। এ ছাড়া হারুন খন্দকার গোলজার রহমান খন্দকারের ছেলে এবং ফরিদুল ইসলাম খন্দকার জরিদুল ইসলাম খন্দকার সাহেব খন্দকারের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন একই গ্রামের আনোয়ারা বেগম ও হালিমা বেগম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফারুক আহাম্মেদ জানান, ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট গ্রামের বাকি মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ গোলজার রহমান ও তাঁর লোকজন। পরে ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আরিফুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আরিফুলের নানা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামিকে করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আদালতের বিচারক মামলার পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ড ও দুই আসামিকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।

আইনজীবী মো. ফারুক আহাম্মেদ আরও জানান, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে উপস্থিত নিহত শিশু আরিফুল ইসলামের বাবা বাকি মিয়া বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই আমার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ আট বছর আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’