Thank you for trying Sticky AMP!!

গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের ‘মৃদু’ লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি

সমাবেশে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতা–কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুরের রাজবাড়ী রোডে

সড়কে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে সমাবেশ করার অভিযোগে গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ কয়েকটি টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতা–কর্মীরা ‘ইটপাটকেল ছুড়লে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা ‘মৃদু’ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি করেছে।

আজ শনিবার দুপুরে শহরের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ১৫ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

জেলা বিএনপির নেতা–কর্মীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী বিক্ষোভে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছ থেকে আগেই অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তারপরও অনুষ্ঠান শুরু হলে পুলিশ বাধার সৃষ্টি করে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের তৎপরতা। আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুরের রাজবাড়ী রোডে

এতে গাজীপুর মহানগর যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ নেওয়াজ, সহসম্পাদক মোশারফ হোসেন ভুইয়াসহ কমপক্ষে ১৫ যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মহানগর যুবদলের কর্মী মাসুদ মোল্লা এবং জেলা যুবদলের কর্মী শামীম মিসি ও জোবায়ের আকন্দ।

সমাবেশে সংঘর্ষের পর বিএনপির এক কর্মীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

জেলা যুবদলের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। সেই কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও গুলি ছুড়ে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নেতা আহত হয়েছেন।

মহানগর পুলিশের সদর-কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ সুপার থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তাঁরা পাশের সড়কে নেমে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সড়ক থেকে সরে যেতে বললেও না শুনে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে পুলিশও মৃদু লাঠিচার্জ এবং কয়েকটি টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এবং পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের তিন কর্মীকে আটক করেছে।