Thank you for trying Sticky AMP!!

গার্মেন্টসকর্মী মৌসুমী করোনায় সংক্রমিত ছিলেন না

প্রতীকী ছবি

গাজীপুর থেকে ট্রাকযোগে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় মারা যাওয়া গার্মেন্টসকর্মী মৌসুমী আখতার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন না। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর রিপোর্টে বিষয়টি জানা গেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়।

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, মৌসমী আখতারের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের সময় রংপুরের তাজহাট থানার পুলিশের অনুরোধে নমুনা নিয়েছিল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অসুস্থ অবস্থায় মৌসুমী আখতার ট্রাকযোগে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে ফিরছিলেন। ট্রাকচালক রংপুরের তাজহাট এলাকায় এসে বুঝতে পারেন মৌসুমী মারা গেছেন। ঘটনাটি জানতে পেরে তাজহাট থানার পুলিশ মৌসুমী আখতারের মরদেহ ও ট্রাকচালককে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার তদন্তের পর মরদেহ তাঁর বাবা গোলাম মোস্তফার জিম্মায় দেওয়া হয়।

গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, তিনি মৌসুমীর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিসাদের সঙ্গে কথা বলেন। করোনা সংক্রমণে মৌসুমী মারা গেছেন মনে করে চেয়ারম্যান লাশ এলাকায় নিতে নিষেধ করেন। এরপর তিনি নিরুপায় হয়ে মেয়ের মরদেহ রংপুরে দাফনের জন্য একজন লাশবাহী গাড়ির চালককে পাঁচ হাজার টাকা দেন। কিন্তু লাশ দাফন না করে তিস্তা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে রোববার সন্ধ্যায় মৌসুমীর মরদেহ ব্যাগে ভরা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার রাতে গোলাম গোলাম মোস্তফা আদিতমারী থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। লালমনিরহাটের পুলিশ সুপারের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে আদিতমারী ও পাটগ্রাম থানার পুলিশের উদ্যোগে পাটগ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মৌসুমী আখতারের লাশ দাফন হয়।

আজ বুধবার পাটগ্রামে বুড়িমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিসাদ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি মৌসুমী আখতারের মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করতে নিষেধ করেননি। বরং সহায়তা করতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
দাফনের জন্য টাকা নিয়ে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছিল তিস্তায়!