Thank you for trying Sticky AMP!!

গুরুদাসপুরে নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। শুক্রবার দুপুরে

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দলটির একাংশ। আজ শুক্রবার দুপুরে নাজিরপুর বাজারের প্রধান সড়কে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী ও নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আয়ুব আলীর পক্ষে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মনোনয়নবঞ্চিত আয়ুব আলী বলেন, দল-সংগঠন চালাতে গিয়ে তিনি নানাভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাঁর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু গত শনিবার রাতে তাঁর পরিবর্তে শরিফুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন (নৌকা) দেওয়া হয়েছে। অথচ শরিফুল ইসলাম বিতর্কিত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা মরহুম আবদুল আজিজ গুরুদাসপুর থানায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ৮ নম্বর আসামি ছিলেন।

ওই মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে আবদুল আজিজসহ ১১ ব্যক্তির নামে গুরুদাসপুর থানায় ওই মামলা করেছিলেন। এ ছাড়া শরিফুল ইসলাম নিজে চেক ডিজঅনার মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এখন তিনি জামিনে রয়েছেন।

মনোনয়নবঞ্চিত আয়ুব আলী বলেন, নৌকার মনোনয়নপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলামের বাবা মরহুম আবদুল আজিজ গুরুদাসপুর থানায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ৮ নম্বর আসামি ছিলেন।

নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, এলাকায় বিতর্কিত এক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কারণে দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। অবিলম্বে প্রার্থী পরিবর্তন করে পরিচ্ছন্ন ইমেজের অন্য কোনো ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। ওই কর্মসূচিতে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা অংশগ্রহণ করেন।

মনোনয়নবঞ্চিত আয়ুব আলীর অভিযোগ প্রসঙ্গে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা আবদুল আজিজ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তা ছাড়া আমি নিজে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।’ শরিফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে বিভক্ত রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন তাঁর বাবা। তিনিও হয়রানি মামলার শিকার হয়েছেন। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার কারণে তাঁর পরিবার ঘিরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন শরিফুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।