Thank you for trying Sticky AMP!!

গোপালগঞ্জে আরও ২৯ জন কোভিডে আক্রান্ত, মারা গেছেন একজন

ছবি রয়টার্স

গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৯৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৫০ জন।

জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৮৮ জন। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ১৫ জন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ এসব তথ্য জানান।

এদিকে আজ কাশিয়ানীতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত বিমল কৃষ্ণ রায় ত্রিনাথ (৬০) নামের এক পল্লি চিকিৎসক মারা গেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১৩ জন, মুকসুদপুরে ২ জন, কোটালীপাড়ায় ৯ জন, কাশিয়ানীতে ১ জন ও টুঙ্গিপাড়ায় ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৯৪ জন, কাশিয়ানীতে ১৭৫ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ২৭৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৬০ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৭৬ জন।

কাশিয়ানীতে পল্লি চিকিৎসক বিমল কৃষ্ণ রায় আজ সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার রাজপাট গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি রাজাপাট গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কয়ূম তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ৩ জুলাই বিমল কৃষ্ণ রায়ের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকালে তিনি নিজ বাড়িতে মার যান।