Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামের পাহাড়ে সোমবার থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ

পাহাড়ের পাদদেশ থেকে চূড়া, সবখানেই বসতি। কিছু স্থাপনা করা হয়েছে তিন-চারতলা পর্যন্ত। ঝুঁকি জেনেও এসব ঘরে থাকছে বাসিন্দারা। নগরের মতিঝরনা এলাকার টাংকির পাহাড় থেকে তোলা।

আসন্ন বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে আগামী সোমবার থেকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির উচ্ছেদ শুরু হবে। বায়েজিদ–ফৌজদারহাট লিংক সড়কের দুপাশের পাহাড়ে অভিযানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ কার্যক্রম। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এ অভিযান চলবে।

বুধবার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সম্মেলনকক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত উপকমিটির সভায় এ অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে পাহাড়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নিয়ে আলোচনা হয়। নগরের ২৫টি পাহাড়ে এক হাজারের বেশি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে করা একটি তালিকা অনুযায়ী, ১৭ পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে ৮৩৫টি পরিবার। এরপর সিডিএর বায়েজিদ–ফৌজদারহাট লিংক সড়ক নির্মাণের সময় নতুন করে ১৬টি পাহাড় কাটা হয়। সেখানকার ৮ পাহাড়ে নতুন করে অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে। সভায় এসব বসতি উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত হয়।

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী বলেন, সোমবার বায়েজিদ সড়কের পাহাড়ে অভিযানের মধ্য দিয়ে উচ্ছেদ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালানো হবে। তবে যেসব পাহাড়ে গড়ে ওঠা বসতি নিয়ে মামলা রয়েছে, সেগুলোর উচ্ছেদ আপাতত বন্ধ থাকবে। উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিভিন্ন সেবা সংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।