Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামে সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। ফাইল ছবি

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী।

আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন মো. সাইফুদ্দিন মহসীন (৫৫)। তাঁদের প্রতিষ্ঠান গাড়ির টায়ার ও যন্ত্রাংশ আমদানির মাধ্যমে দেশে বাজারজাত করে।

সাহেদের বিরুদ্ধে নগদ ৩২ লাখ এবং চেকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে মো. সাহেদ টাকাগুলো হাতিয়ে নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বাদী মেসার্স মেগা মোটরর্সের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে তাঁর চাচাতো ভাই মো. সাইফুদ্দিন মহসীন। সাইফুদ্দিনও এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা দেখভাল করেন। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানাধীন ধনিয়ালাপাড়ায়। তাঁদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়।

মো. সাইফুদ্দিন মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ঢাকার ব্যবসায়িক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শহীদুল্লাহর মাধ্যমে মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়। সেখানে নানা ধরনের ব্যবসায়িক কাজের জটিলতা খুলে দিতে পারবেন বলে সাহেদ প্রতিশ্রুতি দেন। এ রকম একটি কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেদিন থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন সাহেদ।

পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীতে ২০০ তিন চাকার গাড়ি নামানোর অনুমোদন সরকার থেকে নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মো. সাহেদ। একটি অনুমোদনও নিয়ে দেন সাহেদ, যা ছিল ভুয়া। এরপর টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সাহেদকে চাপ দেওয়া হয়। সাহেদ প্রভাব খাটিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এ কারণে মেসার্স মেগা মোটরর্সের মালিক পক্ষ পিছু হটে।

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও জনৈক শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে সোয়া ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারণা মামলা হয়েছে।

ওসি সদীপ কুমার দাশ আরও বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সাহেদকে পাওয়া গেলে তদন্তে আরও গতি আসবে।