Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামে ৮ ‘উচ্চ সংক্রমণশীল’ এলাকা ঘোষণা

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারের বিভিন্ন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ঝোলানো হয়েছে লকডাউনের ব্যানার। কিন্তু এরপরও মাস্ক না পড়ে সেখানে ঘোরাঘুরি করছে লোকজন। বিকেল ৬টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্টাফ কোয়াটার এলাকা

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরের তিন থানার অন্তত আটটি এলাকাকে ‌‘উচ্চ সংক্রমণশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ‌উচ্চ সংক্রমনশীল এলাকাগুলোতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।

নগরের চকবাজার থানার জয়নগর, হালিশহর থানার রামপুর ওয়ার্ডের সবুজবাগ, নয়াবাজার, বউবাজার, ঈদগাহ, বসুন্ধরা এলাকা এবং পাহাড়তলী থানার ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ও ১২ সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কিছু এলাকা উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকার আওতায় পড়েছে। দুপুর থেকে এসব এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ করে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।  

নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, ‘বাসিন্দাদের প্রতি এক লাখে ৬০ জনের বেশি আক্রান্ত হিসেবে কয়েকটি এলাকাকে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। এটা পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিদিনের এলাকাভিত্তিক সংক্রমণ তালিকা অনুযায়ী এটা করা হয়েছে। রেড জোন নয়, উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।’

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ও ১২ সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিংসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

হালিশহর থানার মধ্যে ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের সবুজবাগ, নয়াবাজার, বউবাজার, ঈদগাহ এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এসব এলাকার প্রতিটি প্রবেশমুখ মূল ফটক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমিত আকারে বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ ঢুকতে ও বের হতে কোনো সমস্যা যেন না হয়, তা দেখা হবে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও দায়িত্ব পালন করছেন।

পুলিশ জানায়, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে মানুষের চলাচল সীমিত করা এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চালবাজারের জয়নগর এলাকাকে করোনা উচ্চ সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিকেলে দেখা যায়, জয়নগর এলাকার দুটি প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, জয়নগর আবাসিক এলাকাকে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা ঘোষণা করে এর দুটি ফটকের মধ্যে একটিতে স্থায়ীভাবে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকটি গেট দিয়েও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। শুধু যাঁরা জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হচ্ছেন, তাঁদের যেতে দেওয়া হচ্ছে; পাশাপাশি সচেতনতার কাজও চলছে।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আসিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি অফিশিয়ালি কিছু জানি না।’