Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩

চট্টগ্রাম বন্দর। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ সোমবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়েছে। এই সতর্কতার পদক্ষেপ হিসেবে জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে বন্দর। 

সাধারণত অ্যালার্ট–৩ জারি হওয়ার পরই পণ্য ওঠানো–নামানো বন্ধ এবং জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখন পূর্ণ জোয়ার না থাকায় জাহাজ পাঠানো হচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে শুধু দুটি জাহাজ সাগরে পাঠানো হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কাল মঙ্গলবার সকাল সাতটায় জোয়ারের সময় জেটিতে থাকা অন্য সব জাহাজ সাগরে পাঠানো হবে।

বন্দরের সচিব ওমর ফরুক প্রথম আলোকে বলেন, এখন যেহেতু জোয়ার নেই, সে জন্য মঙ্গলবার ভোরে জোয়ারের সময় বন্দরের সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেটিতে থাকা জাহাজে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে জাহাজ জেটি থেকে কিছুটা দূরে সাগরে পাঠানো হয়।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী নদীর বন্দরের জাহাজ আসা–যাওয়ার পথে সব লাইটার জাহাজ সরিয়ে নেওয়ার জন্য বন্দরের টাগবোট ও পাইলট ভ্যাসেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এসব জাহাজ শাহ আমানত সেতুর উজানে নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। সব জাহাজের ইঞ্জিন সচল রাখতে বলা হয়েছে।

আজ বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে। এরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সংকেত অ্যালার্ট-২ থেকে বাড়িয়ে অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে। এটি বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি এবং বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়।