Thank you for trying Sticky AMP!!

চলমান পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর-শরিয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের কলেজ গেট এলাকায়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার প্রতিবাদে ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ গেট এলাকায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর মডেল থানা-পুলিশ ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এক ঘণ্টা চেষ্টা করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, অনার্স, মাস্টার্সসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান স্থগিত সব পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাদারীপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে এক বছর আগের পরীক্ষা গত মাসে শুরু হয়। মূল পরীক্ষাগুলো আমাদের শেষ হয়েছে। এখন মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো বাকি। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই আবারও পরীক্ষা স্থগিত করল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা এমনিতেই সেশন জটে পড়ে আছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অনার্স আর শেষ হবে না। আমাদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মহসিন বলেন, এক দেশে শিক্ষার দুই নীতি চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন নীতি। তারা পরীক্ষা স্থগিত করে রেখেছে। সরকারের এমন শিক্ষানীতি কেন?

২৩ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি মাস্টার্সের শেষ দুটি পরীক্ষা হওয়ার কথা বলে জানান শিক্ষার্থী তিশা দাশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। হঠাৎ শুনি পরীক্ষা হচ্ছে না। এতে আমাদের মন ভেঙে যাচ্ছে।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রথমে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। পরে তাঁদের একপাশে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় কিছু যানবাহন বাধার মুখে পড়লে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।