Thank you for trying Sticky AMP!!

চসিকের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের আট দিন পর আজ রোববার নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে অবস্থিত আড়াই শ শয্যার এ সেন্টার চালু হয়।

সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন রোগী আসলেও তাঁদের ভর্তি করা হয়নি। কারণ এটি করোনা পজেটিভ রোগীদের জন্য করা হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দুইজন পজেটিভ রোগী এসেছিলেন, তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরেকজন পজেটিভ রোগী এসেছিলেন। তার আইসিইউ প্রয়োজন হবে তাই তাকে ভর্তি না করে বিশেষায়িত হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৩ জুন নগরের আগ্রাবাদের এক্সেস রোডে সিটি কনভেনশন হলে আইসোলেশন সেন্টারটির উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি গড়ে তোলা হয়। আইসোলেশন সেন্টারটি পরিচালনার জন্য সিটি করপোরেশন চিকিৎসকসহ ৬০ জনবল নিয়োগ দিয়েছে। এর আগে এখানে পদায়নের পরও যোগ না দেওয়ায় ১০ চিকিৎসক ও এক স্টোর কিপারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে আজ সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে রেড জোন এলাকায় দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত সিটি হল আইসোলেশন সেন্টারটিকে সর্ববৃহৎ করোনা চিকিৎসালয় হিসেবে উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এখান থেকেই করোনা আক্রান্তরা যাতে সহজে সুচিকিৎসা পান সেভাবেই এই সেন্টারটির অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ততা, সেন্ট্রাল এসি ব্যবস্থা, ওয়াইফাই সুবিধা সংযোজিত করা হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধপত্র, খাবার ব্যয় সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্বাহ করা হবে। আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে।

মেয়র বলেন, রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে যে সমস্ত রোগীর নিজেদের ঘরে আইসোলেশনে থাকার সুযোগ নেই তাঁদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে নন-কোভিড রোগীদেরও প্রয়োজনীয় জরুরী চিকিৎসা দিয়ে পরে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। সেন্টারটিকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।