Thank you for trying Sticky AMP!!

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার, খুলনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

খুলনা জেলার মানচিত্র

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ভারতে পাচারের দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনজন। আজ বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আবদুস ছালাম খান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শাহীন শেখ ও আছমা বেগম ওরফে সালমা। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। আসামি দুজনই পলাতক। খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় এক বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ। মামলায় মোট আটজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ফরিদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে নগরের খানজাহান আলী থানার বিআইটি রোডের এক মেয়েকে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা ভারতে পাচার করে দেন। সেখানে অনৈতিক কাজের জন্য তাঁকে বিক্রি করা হয়। ঘটনা জানার পর ওই মেয়েকে ফেরত চাইলে আসামিরা ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। মেয়েটিকে এখন পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১২ সালের আগপর্যন্ত মানব পাচারের বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মধ্যে ছিল। ওই আইনের ৬ (১) ধারায় মানব পাচারের বিষয়টি উল্লেখ আছে। বিচারক ওই ধারা অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। তবে এ রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।