Thank you for trying Sticky AMP!!

চিত্র প্রদর্শনীতে বরেন্দ্রের মাটি ও মানুষের মুখ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বরেন্দ্র আর্ট সোসাইটি প্রদর্শনীতে গতকাল শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। প্রথম আলো

বরেন্দ্রের রুক্ষ মাটি। সেই মাটিরই দেয়ালঘেরা বাড়ি। পুরোনো টিনের ছাউনিতে জং ধরেছে। বাড়ির পেছনে গাছগাছালির সবুজ মায়া। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছেন একজন সাঁওতাল রমণী। অ্যাক্রিলিক মাধ্যমে ‘বরেন্দ্র প্রকৃতি’ নামের এই ছবি এঁকেছেন শিল্পী তারিক হাসান। এ রকম ৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। ছবিগুলোতে বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি ও মানুষের মুখ কখনো মূর্ত, কখনো বিমূর্ত হয়ে ধরা দিয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বরেন্দ্র আর্ট সোসাইটি ১৫ জন শিল্পীর আঁকা ছবি নিয়ে তাদের তৃতীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গত সোমবার। প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলো জলরং, তেলরং, অ্যাক্রিলিক, পেনসিল ও চারকোল মাধ্যমে আঁকা। যেখানে প্রকৃতির বাস্তবতা, কোমলতা ও রুক্ষতা ফুটে উঠেছে। মূর্ত হয়েছে দৈনন্দিন জীবনের ক্রিয়াকর্ম। ছবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আঁকা।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার বলেন, এ রকম চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন স্বল্প পরিমাণে হলেও আগ্রহী দর্শকদের চোখ তৈরিতে সহায়তা করবে।
প্রদর্শনীর আহ্বায়ক তারিক হাসান বলেন, ‘নিজস্ব শিল্প বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল বরেন্দ্রভূমি। তালপাতার পুঁথিচিত্র কিংবা সোমপুর বিহারের পোড়ামাটির ফলক এই অঞ্চলের শিল্পচর্চারই ইতিহাস বহন করে। আর এ কথা বললে ভুল হবে না, আমরা তাদেরই উত্তরসূরি।’

প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন রাজশাহী নগরের সাগরপাড়া এলাকার মল্লিকা দে। বললেন, ‘ছবিতে আমাদের চিরচেনা বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, বাস্তবে যা হয়তো অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে না দেখলে খেয়াল করা যায় না। শিল্পীর আঁকা ছবিতে সেই অধরা দৃশ্যগুলো এমনভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে যে তা সামনে চলে এসেছে।’