Thank you for trying Sticky AMP!!

চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে নির্যাতন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে সেই নির্যাতনকারীকে আজ শনিবার সকালে আটক করে পুলিশ। আদালত আটক ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে রাখতে বলেছেন। পুলিশ নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে খুঁজছে।

উপজেলার জামতৈল কলেজপাড়া গ্রামে নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তির নাম হ্যাপি হোসেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। হ্যাপি মাছ ব্যবসায়ী।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ছাগলচোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে ‘প্লাস’ দিয়ে তার আঙুল ভাঙার চেষ্টা করছেন হ্যাপি। এ সময় হ্যাপিকে এভাবে নির্যাতন না করতে নিষেধ করেন আশপাশে থাকা লোকেরা। তখন হ্যাপি তাঁদের বলেন, ‘ওর আঙুল দুইটা ভাঙছি এবং অন্য চোরদের নাম না–বলা পর্যন্ত ওর আঙুল সবগুলো ভাঙব, তার আগে ছাড়ব না। আমি ওকে মেরে ফেলব না, ওর হাত-পা ভাঙব, তারপর ছেড়ে দেব।’ এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই ব্যক্তির কিছু হলে এর দায় কে নেবে? পুলিশে দিয়ে দাও, নচেৎ কিছু করতে ইচ্ছে করলে নিজের রুমে নিয়ে কর।’ স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, নির্যাতনের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন হ্যাপি।

তখন হ্যাপি তাঁদের বলেন, ‘ওর আঙুল দুইটা ভাঙছি এবং অন্য চোরদের নাম না–বলা পর্যন্ত ওর আঙুল সবগুলো ভাঙব, তার আগে ছাড়ব না। আমি ওকে মেরে ফেলব না, ওর হাত-পা ভাঙব, তারপর ছেড়ে দেব।’

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিষয়টি অবগত হয়ে হ্যাপি হোসেনকে আটক করেছি। নির্যাতিত ব্যক্তিকে খোঁজা হচ্ছে। তাঁকে পেলেই মামলা হবে। মামলার আগ পর্যন্ত আদালত হ্যাপিকে পুলিশি হেফাজতে রাখতে বলেছেন।’