Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রদল নেতাকে না পেয়ে আটক তিন ভাইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

ঢাকা জেলার মানচিত্র

ঢাকার সাভার থেকে আটকের ১২ ঘণ্টা পর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সজীব মোরসালিনের তিন ভাইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মায়ের জিম্মায় সাভার থানা থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত সোমবার রাতে সাদাপোশাকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাভার থেকে সজীবের ভাই মাসুদ পারভেজ ওরফে জুয়েল (৩৮), শহীদুল ইসলাম (৩৫) ও সোহেল রানাকে (৩৩) আটক করেছিল। সজীবের বাড়ি সাভার পৌর এলাকার কোটপাগাড়ে।

সজীবকে বাসায় না পেয়ে তিন ভাইকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে তাঁর আগেই ওই তিনজন ছাড়া পেয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা অভিযোগ করেন, গত রাতে (সোমবার) গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে পুলিশ ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সজীবকে বাসায় না পেয়ে তাঁর তিন ভাই জুয়েল, সোহেল ও সুমনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, সজীব রায়হানকে বাসায় না পেয়ে তাঁর ভাইদের ধরে নিয়ে যাওয়া নাৎসিবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ।

ছাড়া পাওয়ার পর সজীবের ভাই শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে সাভার নামাবাজারের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মুঠোফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সাদাপোশাকে পুলিশ তাঁকে আটক করে। এরপর তাঁকে দিয়ে পারভেজ ও সোহেলকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আটক করে। এরপর পারভেজকে সাভার থানা হাজতে রেখে তাঁকে ও সোহেলকে নিয়ে সজীবকে আটকের জন্য মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। সজীবকে না পেয়ে বেলা ১১টার দিকে মা আনোয়ারা বেগমের জিম্মায় তাঁদের সাভার থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শহীদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ছয় ভাই। এর মধ্যে সজীব ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত। অন্যরা কেউ রাজনীতি করেন না। তিনিসহ চার ভাই সাভার নামাবাজারে পুরোনো বস্তার ব্যবসা করেন। ছোট ভাই ইমন পড়ালেখা করেন।

এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সায়েদ বলেন, রমনা থানার পুলিশ তাঁদের ধরে এনেছিল। হয়তোবা কোনো আসামি ধরতে সহায়তা করার জন্য। সম্ভবত আসামি ধরতে না পারায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Also Read: ছাত্রদল নেতাকে না পেয়ে তিন ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে