Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগ নেতার বাড়িসহ আটটি বসতবাড়ি ভাঙচুর

মাগুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতির বাড়িসহ অন্তত নয়টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের মান্দারতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধের সূত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিতের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান অবশ্য দাবি করেছেন, রাজনৈতিক নেতাদের নামে কটূক্তি করায় সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছেন।

ভাঙচুরের শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কয়েক শ লোকজন জড়ো হয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার, নাকোল ইউপি যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমীন শেখ, একই ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক এনামুল হকের বাড়িসহ অন্তত আটটি বাড়ি ও একটি ক্লাবঘর ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রতিটি বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপসহ কয়েক লাখ টাকার সম্পদ লুট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মাগুরায় প্রতিপক্ষের লোকজন একটি বাড়ির টিনের বেড়া এভাবেই ভাঙচুর করেন। মান্দারতলা, শ্রীপুর, মাগুরা, ১৩ সেপ্টেম্বর।

জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম সরোয়ারের অভিযোগ, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাকোল ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিতের নির্দেশে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি বাকি বিল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এরশাদ মোল্লাসহ কয়েক শ লোক এ হামলা চালান। হামলার সময় চেয়ারম্যান নিজে পার্শ্ববর্তী ওয়াপদা বাজারে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দেন। আমরা আগে চেয়রাম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিতের সঙ্গ দল করতাম। কিন্তু রাজনৈতিক মতবিরোধের জেরে এখন আর তাঁর সঙ্গে নেই। এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছেন তিনি।’

হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাকোল ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি ওয়াপদা বাজারে একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মাগুরা জেলা পরিষদ। কিন্তু নিজেদের মার্কেটে যাতায়াতে অসুবিধা হবে দাবি করে শনিবার ওই কাজে বাধা দেয় ছাত্রলীগ নেতা মুন। এ সময় স্থানীয় এমপি ও আমাকে নিয়ে কটূক্তি করে তারা। এরই জের ধরে দলীয় কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এর সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীছাউনি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত বলে জেনেছি। এ অভিযোগে এখনো কোনো মামলা হয়নি।’

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, ‘যাত্রীছাউনির কারণে ওখানে একটি মার্কেটে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সরোয়ার আমার কাছে এসেছিল। আমি কাজ স্থগিত রাখতে বলেছি। সরেজমিনে দেখে বাকি সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছি। তবে আজকে হামলার ঘটনা কী নিয়ে, তা জানি না।’