Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রাবাস থেকে তরুণকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

মাহাথির মোহাম্মদ বিন ফরিদ। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রাবাস থেকে সোমবার এক ছাত্রকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ওই ছাত্রের নাম মাহাথির মোহাম্মদ বিন ফরিদ (১৭)। সে বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

বরিশাল বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দ বিশ্বাস বুধবার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই ছাত্রের সন্ধানে অভিযান চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে এসআই অরবিন্দ বলেন, ‘জিডিতে যে সময় ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময় আমাদের থানা এলাকার আওতাধীন ঘটনাস্থলে কোনো অভিযানের খবর ছিল না। তা ছাড়া ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ইউনিটই মাহাথিরকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেনি।’

মাহাথিরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিস বিমানবন্দর থানায় মঙ্গলবার জিডি করেছেন। একই থানায় আলাদা জিডি করে মাহাথিরের বাবা মো. ফরিদ উদ্দিন।

অধ্যক্ষের করা জিডি থেকে জানা যায়, সোমবার ভোর তিনটার থেকে চারটার মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন লোক নিজেদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসের ১ নম্বর গেটে দায়িত্বরত নুরুল ইসলামকে তালা খুলতে ধমক দেয়। নুরুল ভয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই গেট খুলে দেন। ওই লোকেরা ছাত্রাবাসে গিয়ে ২০৬ নম্বর কক্ষ থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মাহাথির মোহাম্মদ বিন ফরিদকে ধরে নিয়ে যায়। পরে অধ্যক্ষ বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর তিনি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পান এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান।

মাহাথিরের বাবা বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিনের জিডি সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর থেকে ছাত্রাবাসে তাঁর ছেলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়ে ছেলের সন্ধান না পেয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

মাহাথিরের বাবা ফরিদ বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের গাড়িচালক। তিনি বলেন, ‘মাহাথিরের কলেজ থেকে জানতে পেরে আমি বরগুনা থেকে বরিশালে যাই। এরপর পুরো বিষয় জানতে পেরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। সেখান থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ছেলের সন্ধান এখনো পাইনি।’