ছেলের শাস্তি চান রবিউলের বাবা
তরুণীকে তুলে নিয়ে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রবিউল ইসলামের (২৫) বাবা দেলোয়ার হোসেন (৬৫) জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে দোষ করে থাকলে শাস্তি হোক, এটা তিনিও চান। তিনি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে নেই। তবে তিনি এখনো মনে করেন, তাঁর ছেলে এমন কাজ করেননি।
রবিউল ইসলামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নদগীপুর গ্রামে। তিনি মামলার ৫ নম্বর আসামি। রোববার রাতে পুলিশ হবিগঞ্জের নবীনগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের নিজআগনা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এমসি কলেজে পড়াশোনা করেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আজ সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রবিউল ইসলামের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁর পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। রবিউল পড়াশোনার জন্য ২০১৪ সালে সিলেটে যান। সিলেট নগরে প্রথমে তাঁর নানার বাড়িতে থাকতেন। পরে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ওঠেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রবিউল মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে বোরো ধান কাটার সময়। তাঁর চলাফেরায় পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করতে পারেনি সে এমন কাজ করতে পারে। আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমার এক কথা, আমি কোনো অন্যায়ের সাথে নেই। সে (রবিউল) দোষ করলে সাজা হোক। আর যদি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তাহলে আল্লাহ আছেন। বরিউলের মা ও বোনদেরও একই কথা। দোষ করলে তার যেন শাস্তি হয়।’
Also Read: আগে থেকেই অপকর্মে ধর্ষণকাণ্ডে জড়িতরা
বড় নগদীপুর গ্রামের দুজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, রবিউল ইসলাম গ্রামে যেতেন কম। তাঁর বাবা তেমন কোনো কাজ করেন না। তবে রবিউল ইসলাম সিলেটের রাজনীতি করেন, এটা অনেকেই জানেন। তাঁর বিরুদ্ধে নানা ঘটনায় সিলেটে মামলা থাকার বিষয়টিও গ্রামের লোকজন শুনেছেন। সিলেটে এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রশ্রয়ে ছিলেন রবিউল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার মামলা এবং আরেকটি ছিনতাই মামলারও আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সিলেট থেকে পাঠানো দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে এসব মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।
গত শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই মামলার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলাম। পুলিশ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন
-
রাজনীতি আর ক্ষমতার দাপটও টেকাতে পারল না পদ্মা ব্যাংককে
-
তদন্ত প্রতিবেদনগুলো বলছে, বনজীবীদের ফেলে আসা আগুনে সুন্দরবন পোড়ে
-
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন আজও জমা পড়েনি
-
সিরাজগঞ্জে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রার্থীর বৈঠক শুনে পুলিশের অভিযান
-
তদন্ত শেষ, তবু সিআইডিতে আটকে আছে ২০০০ মামলা