Thank you for trying Sticky AMP!!

ছেলের স্বাভাবিক হাঁটাচলার জন্য মুক্তিযোদ্ধার আকুতি

মুক্তিযোদ্ধা বাবা মতিউর রহমানের সঙ্গে ছেলে এমদাদুর রহমান। ছবি: প্রথম আলো

ছোটবেলা থেকেই এমদাদুরের বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত অবশ। এক পায়ে ভর করেই হাঁটতে হয় তাকে। অনেক চিকিৎসা করিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। সর্বশেষ এক চিকিৎসকের কাছে দেখানোর পর তিনি শুনিয়েছেন আশার বাণী। অস্ত্রোপচার করলে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারবে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এমদাদুর রহমান।

কিন্তু এ জন্য ব্যয় হবে ১০ লাখ টাকা, যা তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বাবা মতিউর রহমানের পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এমদাদুরের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। সে জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলের চিকিৎসায় তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চান মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান।

মতিউর রহমান জানান, এমদাদুরের জন্মের এক বছর পর হঠাৎ করেই তার বাঁ পায়ের হাঁটু ফুলে যায়। এরপর থেকে সে ওই পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারে না। এ জন্য লাঠি বা অন্য কোনো কিছুর সহায়তা লাগে। দীর্ঘদিন ধরে ছেলের চিকিৎসায় জমিজমা বিক্রি করেছেন। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে এমদাদুরের পায়ে তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। ছেলের চিকিৎসার জন্য জমিজমা বেচে এখন প্রায় নিঃস্ব তিনি।

মতিউর রহমান জানান, সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ মুহিবুর রহমানের সহায়তায় ঢাকার ধানমন্ডির বারি-ইলিজারভ অর্থোপেডিকস সেন্টারে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে অধ্যাপক মো. মোফাখখারুল বারী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বলেছেন, তাঁর ছেলে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে। তবে এ জন্য চিকিৎসায় ব্যয় হবে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু তাঁর পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে এমদাদ বড়। জীবনভর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছি, জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। এই বিপদে বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া আর কার কাছে যাব, তিনি সহায়তা করলে আমার ছেলেটি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে।’