ছোট বোন ডুবে যাচ্ছিল, টেনে তুলতে গিয়ে ডুবে গেল ৭ বছরের আফিফাও
ভোলায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দুই মেয়েশিশু প্রাণ হারিয়েছে। তারা দুজনই আপন বোন। নিহত বড় বোনের নাম আফিফা (৭), আর ছোটটির নাম মুনতাহা (৫)। প্রথমে মুনতাহা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় ছোট বোনকে বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করে শিশু আফিফা। দুজনই সাঁতার না জানায় দুই বোনই পানিতে ডুবে মারা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর ভেদুরিয়া গ্রামে। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেয়ে দুটির বাবা হেতনারহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন। এই দুই মেয়ে ছাড়া জসিমের আরও একটি মেয়ে আছে। তার বয়স মাত্র ১৫ দিন।
আজ বাদ এশা হেতনারহাট বাজারের উত্তর পাশে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দুই বোনকে দাফন হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা জানান, দুপুরের দিকে আফিফা ও মুনতাহা বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করতে যায়। কেউই সাঁতার জানত না। পাঁচ বছরের মুনতাহা সাঁতার শেখার চেষ্টা করতে গিয়ে একটু ভেতরে চলে যায়। এ সময় ছোট বোনের হাত ধরে তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করে সাত বছরের আফিফা। দুই বোনের কেউ ফিরতে পারেনি। খুব দ্রুত পানিতে তলিয়ে যায় তারা। লাশ ওঠানোর পর দুই বোনের হাত ধরা ছিল।
শিশু দুটি পুকুরে নামার সময় কেউ ঘাটে ছিল না। পরিবারের লোকজন অনেক সময় ধরে খুঁজে না পেয়ে পাড়ার লোকদের জানান। জুমার নামাজ থেকে ফেরা লোকজন পানিতে নেমে দুই বোনকে হাত ধরাধরি অবস্থায় উদ্ধার করেন।
স্বজনেরা আরও জানায়, শিশু দুটি পুকুরে নামার সময় কেউ ঘাটে ছিল না। বেলা দুইটার দিকে তাদের নানি ঘরে এসে দেখেন, বিছানায় আফিফা-মুনতাহার স্যান্ডেল-জামাকাপড়। তখন নানি নিজে পুকুরে খুঁজে তাদের পাননি। পরে পরিবারের লোকজন অনেক সময় ধরে খুঁজে না পেয়ে পাড়ার লোকদের জানান। জুমার নামাজ থেকে ফেরা লোকজন পানিতে নেমে দুই বোনকে হাত ধরাধরি অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুই বোনের মৃত্যুতে পাড়াজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।