Thank you for trying Sticky AMP!!

জলঢাকায় করোনায় একজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

নীলফামারীর জলঢাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেলেন তিনজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হাসান মো. রেজওয়ানুল কবির বলেন, করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির স্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন আগে রংপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। গত ২৭ মে পরিবারটির ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ৩০ মে তাঁদের ফলাফল স্বাস্থ্য বিভাগে আসে। এতে ওই ব্যক্তিসহ পরিবারের আরও একজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় তাঁদের বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। আজ ভোরে তিনি মারা যান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন, থানা-পুলিশ ও উপজেলা দাফন কমিটির সহযোগিতায় বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ বলেন, এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হলো। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা ইউনিয়নের ৪৮ বছরের এক ব্যক্তি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এরপর ১০ মে জলঢাকার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ৫০ বছরের এক নারী বাড়িতে মারা যান।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রমতে, ৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩০ জনের। এর মধ্যে সদরে ৫৩ জন, ডোমারে ১৯, সৈয়দপুরে ১৮, ডিমলায় ১৭, জলঢাকায় ১৩ ও কিশোরগঞ্জে ১০ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ জন। বাকিরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।

এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ১ হাজার ৭৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববার পর্যন্ত ১ হাজার ৫১৯ জনের ফলাফল স্বাস্থ্য বিভাগে এসেছে।