Thank you for trying Sticky AMP!!

জলাবদ্ধতা দূর করে বোরো আবাদের স্বপ্ন

সেচ দিয়ে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ১৫ হাজার বিঘা জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এসব জমিতে কৃষকেরা বোরো চাষ করবেন।

সাতক্ষীরায় সেচপাম্পের মাধ্যমে গদাই বিলের পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা ছবি

বর্ষার পানি এখনো সরেনি। জলাবদ্ধতা রয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায়। সাত মাসের বেশি সময় ধরে বাড়ি, ঘর, ফসলি জমি—সব পানির নিচে। এ অবস্থায় গদাইবিল সুরক্ষা কমিটি ও ঢেবুর বিল সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে পানি সেচ দেওয়া শুরু হয়েছে। এতে ওই সব এলাকায় কয়েক হাজার কৃষক তাঁদের জমিতে বোরো ধান আবাদের স্বপ্ন দেখছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব এলাকায় পানি সেচ কার্যক্রম ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই মাসেই প্রায় ১৫ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদে নতুন করে শুরু হবে কর্মযজ্ঞ। জমিতে ফসল ফলবে। কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী আর জলাদ্ধতার কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহর ও ফিংড়ি ইউনিয়নের তালতলা, মাগুরা, গোপীনাথপুর, কৈখালী, মেঠপাড়া, শ্যালে, বেড়াডাঙ্গী, রামচন্দ্রপুর, গোবিন্দপুর, পালিচাঁদ ও ঢেবুর বিলের ১৫ হাজার বিঘা জমি বর্ষা মৌসুমের পর থেকে সাত মাস ধরে পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

লাবসা ইউনিয়নের গদাই বিল সুরক্ষা কমিটি সভাপতি মঞ্জুর হোসেন ও ফিংড়ি ঢেবুখালী সুরক্ষা বিলের আবদুল অদুদ জানান, জমির মালিক ও চিংড়িঘেরের মালিকের কাছ থেকে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে এই সেচ দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব জমি থেকে পানি সরাতে ২০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুর হওয়া সেচ কার্যক্রম ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এসব জমিতে বোরো চাষ সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এসব জমি থেকে পানি সরানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ২১টি সেচ মেশিন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বেতনা, মরিচ্চাপ নদীসহ ৮২টি সংযোগ খাল খননের জন্য ৪৭৫ কোটি টাকা ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ কাজের অংশবিশেষ শুরু হয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসনাইন মাহমুদ জানান, সাতক্ষীরা শহর ও সদর উপজেলার নদী এবং খাল খননের জন্য ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বেতনা নদী খননের জন্য দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করা হয়েছে, নদী খনন ও সংযোগ খালগুলো খনন করা গেলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করা যাবে। তবে টিআরএমের প্রস্তাব থাকলে প্রকল্পে তা রাখা হয়নি।