Thank you for trying Sticky AMP!!

জামালপুরে যমুনার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে

জামালপুর সদর উপজেলায় বন্যাদুর্গত এলাকার চিত্র

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনার পানি বাড়ায় ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া, চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী ও বাহদুরাবাদ ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে। গত বন্যায় গ্রামের বিভিন্ন বাঁধ ও সড়ক ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। সেসব ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়নি। এ কারণে নদীর পানি বেড়ে ওই সব ভাঙা স্থান দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করেছে। এতে গ্রামের ফসলি জমি ফের প্লাবিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে লোকজন আবার পানিবন্দী হয়ে পড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে যমুনার পানি গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শিংভাঙা, পূর্ব বাবনা, দেওয়ানপাড়া, আজমবাদ, বলিয়াদহ ডেবরাইপ্যাচ গ্রামের ফসলি মাঠ প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামে গত বন্যার পর নতুন করে রোপা আমন লাগানো হয়েছিল। আবার এসব ফসলের মাঠে পানি ঢুকেছে। ওই পানিতে কৃষকের ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।